এই ৯ টি খাবার খান, যৌবন ধরে রাখুন-9 Foods to Keep You Young-Food Chart
বয়স যখন ২৫, আপনি চান ১৫ এর মত দেখাক। বয়স যখন ৩৫ এ, চেহারা দেখে মানুষ যদি ২৯ বলে আপনার মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। আর ৪৫ কে ৩৫ বললে তো কোন কথাই নেই। আপনি সুখের সাগরে ভাসতে থাকেন। আবারও ফিরে যেতে ইচ্ছা করে পঁচিশের যৌবনে। কি ঠিক বললাম তো?
বয়স ধরে রাখতে তাইতো আমাদের নিরন্তর চেষ্টা চলতে থাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটি, ব্যায়াম করি, জিমে যাই, পার্লারে যাই, এটা মাখি, ওটা মাখি- কত কি। গোপনে বা প্রকাশ্যে কত কি যে যে চেষ্টা করতে থাকি তার কোনো হিসাব নাই।
কিন্তু শুধু কি এসব করাই কি যথেষ্ট? যৌবন ধরে রাখতে শরীরচর্চাই কি সবকিছু? যৌবন ধরে রাখতে শরীরচর্চা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিন্তু তার সঙ্গে চাই যথাযথ খাদ্যাভ্যাস।
হ্যাঁ আজকে এটা নিয়েই কথা বলব। আজ আপনাকে জানাবো কিভাবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস আপনাকে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। সব খাবার নয়, নির্দিষ্ট কিছু খাবার নিয়মিত খেলে আপনি বয়স ধরে রাখতে পারবেন। তবে সেই সঙ্গে শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না
আজ এমন নয়টি খাবারের কথা বলব, এই ৯ টি খাবার খান নিয়মিত এবং আজীবন ইয়াং থাকুন। আসুন তাহলে দেখি সেই খাবারগুলো কি কি এবং আমাদের শরীরের জন্য সেই খাবারগুলো কি কি উপকার করে। কীভাবেই বা এই খাবারগুলো যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এই ৯ টি খাবার খান, যৌবন ধরে রাখুন
১. দই: দই আমরা অনেকেই পছন্দ করি আবার অনেকে পছন্দ করিনা। কিন্তু যৌবন ধরে রাখতে দই আমাদের অনেক সাহায্য করে। আপনি নিয়মিত দই খেলে আপনার মেদ ও কোলেস্টেরল কমবে এটা নিশ্চিত থাকুন।
![]() |
দই |
শরীরের গঠন ভালো করতে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে দই-এ থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সাহায্য করে থাকে। দই ত্বকের বলিরেখা কে প্রতিরোধ করে এবং বয়স জনিত কারণে হওয়া রোগ থেকে মুক্ত রাখে। তাই আজীবন ইয়াং থাকতে নিয়মিত দই খাওয়ার কোন বিকল্প নাই।
২. ডিম : প্রতিদিন সকালে নাস্তার সঙ্গে একটি ডিম, এই সু অভ্যাস অনেকের মধ্যে থাকলেও কেউ কেউ ডিম খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু সকালের নাস্তায় একটি ডিম, আপনার সারাদিনের কর্মক্ষমতাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে। তাই সিদ্ধ অথবা ভাজি করে প্রতিদিন একটি করে ডিম খান।
![]() |
ডিম |
ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি-৫ এবং ভিটামিন বি-৬, এই দুইটি ভিটামিন আমাদের শরীরে হরমোন এর কাজ গুলো ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ডিম খেলে মানসিক চাপ কমে এবং ডিম শক্তি ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. দুধ: দুধের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। আপনি কি জানেন? আপনার শরীর গঠনে এবং শক্তি উৎপাদনে দুধের ভূমিকা অনেক। দুধের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। দুধের সঠিক গুনাগুন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে খেতে হবে।
![]() |
দুধ |
চলুন, দেখে নিই আমাদের শরীরের জন্য দুধ আসলেই কি কি উপকার করে। দুধ যৌবন ধরে রাখে, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরের শুষ্কতা দূর করে, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দ্রুত হজম হতে সহায়তা করে, মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে, শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং চেহারায় একটি সতেজ অবস্থা বিরাজমান রাখে।
বুঝতেই পারছেন, যে দুধ আমাদের এতই উপকার করে তাহলে আমরা কেন নিয়মিত দুধ গ্রহণ করব না? তাই যৌবন ধরে রাখতে আজ থেকেই প্রতিদিন এক গ্লাস খাঁটি দুধ পান করতে ভুলবেন না।
৪. মধু : মধু নামটাই আমাদের কাছে মধুর। আপনি ভাবতেই পারবেন না, যৌবন ধরে রাখতে মধু আমাদের কতটা উপকার করতে পারে। তাছাড়া মধুর রয়েছে অনেক অনেক ওষধিগুণ। আসুন দেখি মধুর গুনাগুন গুলো কি কি।
আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খেলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে এবং কফ দূর হয়ে যাবে। এছাড়া মধু আমাদের দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয় অর্থাৎ শরীরকে দূষণমুক্ত রাখে। আমাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া নার্ভগুলো সচল রাখে এবং পাকস্থলীও স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারে।
![]() |
মধু |
আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু শক্তিশালী হয়ে যাবে নিয়মিত মধু খেলে। মধুর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মধুর আরেকটি বিরাট গুন রয়েছে, সেটা হল মূত্রথলির পাথর দূর করা। এছাড়া প্রস্রাব স্বাভাবিক রাখা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা, ক্ষুধা বাড়ানো, প্যারালাইসিস রোগীর জন্যও মধু অনেক উপকারী।
আসলে মধুর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। নিয়মিত মধু খান এবং যৌবন ধরে রাখুন।
৫. রসুন : আমরা তরকারিতে মসলা হিসেবে রসুন খাই প্রতিদিনই। কিন্তু আপনি কি জানেন. যৌবন ধরে রাখতে এই রসুন এর কোন বিকল্প নাই? রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের একটি উপাদান । আমাদের শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে এলিসিন নামের এই উপাদানটির অনেক ভূমিকা রয়েছে ।
![]() |
রসুন |
এছাড়া রসুন শরীরকে সতেজ রাখে, গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করে এবং শরীরের পৌরষত্ব বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া পাকস্থলীতে ব্যথা দূর করতে রসুনের ভূমিকা রয়েছে। সকাল বেলা খালি পেটে এক কোয়া রসুন খান, আজীবন যৌবন ধরে রাখুন।
৬. নানান রঙের ফল : নিয়মিত ফল, ধরে রাখে বল। ঠিক তাই, আজীবন ইয়াং থাকার জন্য বা যৌবন ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ফল খাওয়ার কোন বিকল্প নাই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপকারী মৌসুমী ফল গুলো। তারমানে আমের সময় আম, জামের সময় জাম বা কাঁঠালের সময় কাঁঠাল খেতে হবে।
![]() |
নানান রঙের ফল |
তাছাড়া বাজারে রয়েছে নানান রঙের ফল যা কিনা সারা বছরই পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে কমলা আপেল কলা আঙ্গুর ইত্যাদি রয়েছে। এই ফলগুলো নিয়মিত খাবার অভ্যাস করুন। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে পুরুষের যৌবন অটুট থাকে।
যৌবন ধরে রাখতে আরেকটি ফলের রয়েছে অনেক কার্যকারিতা বা গুন। এই ফলটির নাম হচ্ছে তরমুজ। তাই নিয়মিত তরমুজসহ অন্যান্য রঙিন ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আজীবন যৌবন ধরে রাখার জন্য নিয়মিত রঙিন ফল খাওয়ার কোন বিকল্প নাই।
তাই আপনার খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন কিছু না কিছু ফল রাখতে যেন ভুল না হয়।
৭. পালং শাক ও নানান সবজি : পালংশাক একটি শীতের সবজি হলেও বর্তমান সময়ে বাজারে প্রায় সারা বছরই পালং শাক পাওয়া যায়। আপনি কি জানেন, পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, আর এই ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এবং শরীরের উদ্দীপনা বাড়াতে ও পালংশাকের কোন বিকল্প হয় না।
এছাড়া সারা বছরজুড়ে যেসব সবজি বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এই সকল শাক সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, লাল শাক, কচু শাক, পুঁইশাক, কলমি শাক, লাউ শাক, কুমড়া শাক, পাকা কুমড়া, লাউ ইত্যাদি।
![]() |
পালং শাক ও নানান সবজি |
শাকসবজি নিয়মিত খেলে আপনার শরীর সতেজ থাকবে। আপনাকে কর্মক্ষম এবং রোগমুক্ত রাখবে। তাই আজীবন ইয়াং থাকতে নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, যৌবন ধরে রাখুন।
৮. কলা: কলা খুব সহজলভ্য ফল হওয়ার কারণে আমরা অনেকেই নিয়মিত কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, কলাতে থাকা পটাশিয়াম এই রুক্ষতা রোধ করে।
কলাতে রয়েছে ব্রোমেলিয়ান নামের একটি পদার্থ যা কিনা শরীরের টেষ্টোরন সৃষ্টি করে। এই টেষ্টোরন কিন্তু যৌবন ধরে রাখার অন্যতম একটি উপাদান। সুতরাং কলাকে হেলাফেলা করা যাবে না। আজ থেকেই প্রতিদিন অন্তত একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৯. তৈলাক্ত মাছ : আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। প্রতিদিন আমরা কোন না কোন মাছ খাদ্যতালিকায় রাখতে পছন্দ করি। কিন্তু আপনার জানা উচিত, আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই তৈলাক্ত মাছ না রাখলে আপনি অনেক স্বাস্থ্যগত উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
![]() |
মাছ |
কারণ, এই তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ফ্যাটি এসিড এবং ওমেগা ৩ যা কিনা আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া আপনি অবশ্যই সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করবেন. সামুদ্রিক মাছে থাকা ফ্যাটি এসিড ওমেগা ৩ আপনার শরীরের ইপিএ এবং বি এইচ এ সরবরাহ করে আপনার মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
এছাড়া তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই মনে রাখবেন আপনার স্বাস্থ্য কে সুন্দর রাখার জন্য এবং যৌবন ধরে রাখার জন্য অন্যান্য মাছের পাশাপাশি তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এতক্ষণ যে নয়টি খাবারের আলোচনা করলাম এই খাবারগুলি আপনার যৌবন অটুট রাখতে সাহায্য করবে। তারমানে আপনাকে আজীবন ইয়াং রাখতে সাহায্য করবে। আমাদের ক্ষুধা লাগলে আমরা ভাত খাই অথবা চিড়া-মুড়ি ইত্যাদি খাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, খাদ্য আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং যৌবনকে ধরে রাখার জন্য বিরাট ভূমিকা পালন করে। তাই চিড়া-মুড়ি খেয়ে পেট ভরে রাখলে চলবে না। সঠিক খাবার খেয়ে শরীরকে ভালো রাখতে হবে।
চলুন, আজ থেকেই বুঝেশুনে খাদ্য তালিকা তৈরি করি। সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি করলে আপনার শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকবে এবং কর্মক্ষম থাকবে। তাই সঠিক খাবার নির্বাচন করুন। যৌবন ধরে রাখুন, আজীবন ইয়াং থাকুন।
Coin Casino - All Slots, Live Dealers and Top Casinos
উত্তরমুছুনFind all the casinos you need at this casino. We 인카지노 have febcasino hundreds of games choegocasino and thousands of casino games you can play on our website.